
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতু উত্তর থানার সামনে তিনটি বাস, একটি জিপ, একটি প্রাইভেটকার এবং একটি অটোরিকশার মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এই দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ এবং বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা অভিমুখী ইমাত পরিবহনের একটি বাস ব্রেক ফেল করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। বাসটি প্রথমে একটি প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়। এরপর একে একে একটি জিপ ও দুটি বাসকে ধাক্বা দেয়। ইমাত পরিবহনের ধাক্কা দেওয়া ইলিশ পরিবহনের একটি বাস আবার উঠে পড়ে একটি অটোরিকশার ওপর। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালক গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয় একজন অটোচালক বলেন, প্রতিদিন এখানে অনেক লোকজন থাকে। আজ ভাগ্য ভালো, বেশি ভিড় ছিল না। না হলে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতো।
স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় যানবাহনের উচ্চগতি ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও এখনো দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
Comments