Image description

পটিয়া, মুরাদনগর, লালমনিরহাট, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া মব সন্ত্রাস, নারী ও শিশু নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড ও হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। শুক্রবার দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং সরকারের নীরব ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামের পটিয়ায়, কুমিল্লার মুরাদনগরে, লালমনিরহাট থানা এলাকায় এবং ফরিদপুরে ব্যবসায়ী এ. কে. আজাদের বাসভবনে সম্প্রতি মব হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে মুরাদনগরে মা-ছেলেসহ বহু মানুষকে পিটিয়ে হত্যা এবং নারী ও শিশুদের ওপর বর্বর নিপীড়নের ঘটনায় দেশবাসী আতঙ্কিত।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী)-এর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু এবং সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।

নেতারা অভিযোগ করেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, বাউল আখড়া, আদিবাসীদের বসতি, ভিন্নমতের মানুষ ও নারীদের ওপর ধারাবাহিকভাবে হামলা চলছে। এমনকি ম্যুরাল, ভাস্কর্য, পোশাকসহ নানা ইস্যুতে সামাজিক মবের মাধ্যমে একটি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।”

তারা আরও বলেন, “সরকারের প্রেস সচিব মবকে ‘প্রেসার গ্রুপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং তথ্য উপদেষ্টা মবকে ‘গণআন্দোলনের রূপ’ বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এতে জনগণের মনে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে-সরকার কি তবে এই মবকে প্রশ্রয় দিচ্ছে?”

বাম নেতারা মনে করেন, “মব সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে একদিকে গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে, অন্যদিকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় সংস্কারকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, ততই সংকট গভীর হবে।”

বিবৃতিতে অবিলম্বে মব সন্ত্রাস বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।