রামগঞ্জে নিখোঁজের ১৭ দিন পর কিশোরের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নে নিখোঁজের ১৭ দিন পর এক কিশোরের অর্ধ গলিত লাশ (কঙ্কাল) উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত কিশোরের নাম রাহাদ (১৭)। তিনি রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের ৮নং কালিকাপুর গ্রামের খাসের বাড়ির ইউসুফ কামাল ও রাশেদা বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাহাদ পেশায় একজন রিকশাচালক। গত ২ মে তিনি রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে রামগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
নিখোঁজের ১৭ দিন পর সোমবার বিকেলে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ১নং জয়াগ ইউনিয়নের একটি ডোবায় স্থানীয় এক কৃষক কচুরিপানা তুলতে গিয়ে রাহাদের অর্ধ গলিত মরদেহ দেখতে পান। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তারা সোনাইমুড়ী থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
রাহাদের বাবা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ রামগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করেছে।
রাহাদের মা রাশেদা বেগম জানান, আমার ছেলে রিকশা ভাড়া নিয়ে চাটখিল সোনাইমুড়ী যায়। সারাদিন তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। সন্ধ্যায় সে আমাকে ফোন করে জানায়, বন্ধুদের সঙ্গে থাকবে। আমি ভেবেছি, সব ঠিক আছে। কিন্তু পরদিন থেকে আর কোনো খোঁজ পাইনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও যখন তাকে পাইনি, তখন বাধ্য হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। রাহাদই ছিল আমার একমাত্র ভরসা। তার ছাড়া আমার দেখাশোনার কেউ নেই। এখন আমি সম্পূর্ণ নিঃস্ব ও অসহায় হয়ে পড়েছি।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
Comments