Image description

চুয়াডাঙ্গায় এখন চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ব্যস্ততম সময়। মাঠভরা পাকা ধান ঘরে তোলার তোড়জোড় চলছে পুরোদমে। তবে এবারের মৌসুমে কৃষকদের মুখে তেমন হাসি নেই। কারণ, ধান কাটার জন্য মিলছে না প্রয়োজনীয় শ্রমিক। ফলে বড় ধরনের সংকটে পড়েছেন জেলার কৃষকরা।

সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, অনেক জমিতে ধান পেকে ঝরে পড়ছে, অথচ কাটার মতো লোক মিলছে না। কৃষকরা জানাচ্ছেন, প্রতিবছর এই সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৌসুমি শ্রমিক এলেও এবার তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয় শ্রমিকের সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

মোমিনপুর এলাকার কৃষক বাপ্পি আহমেদ বলেন, “শ্রমিকের অভাবে এবার ধান কাটতে পারছি না। ধান ও ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছে, কিন্তু ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি দেওয়ার পরও কেউ কামে আসছে না। অথচ গত বছর আমরা ৩০০-৪০০ টাকায় শ্রমিক পেয়েছি।”

শ্রমিক না পেয়ে অনেক কৃষক বাধ্য হচ্ছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধান কাটতে। এতে সময় বেশি লাগছে এবং খরচও বেড়ে যাচ্ছে।

চাষিদের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে সহজ শর্তে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হলে এই সংকট অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। অন্যথায় সময়মতো ধান ঘরে তুলতে না পারলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, “শ্রমিক সংকটের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা কৃষকদের যান্ত্রিক উপায়ে ধান কাটার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করছি, যাতে করে তারা এ সংকট মোকাবিলা করতে পারেন।”