
পাশে সবুজ ধানের খেত পেরিয়ে চোখ আটকে যাওয়া সবুজ পাহাড়ে। শেষ বিকেলের গোধূলি বেলায় অনবদ্য এক ল্যান্ডস্কেপ ধরা দেয় খাগড়াছড়ির ‘নিউজিল্যান্ড’ এ। নামের কারণেই অনেকে আবার কৌতুহল-উদ্দীপক হয়ে বেড়াতে আসে। গ্রীষ্মের পাকা ধানের হাসিতে ‘নিউজিল্যান্ড’ আরো সুন্দর হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি ‘নিউজিল্যান্ডে’ প্রায় এক দশক পর নতুন করে সড়ক সংস্কার করেছে খাগড়াছড়ি পৌরসভা। খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরের নিউজিল্যান্ড এলাকাটি পানখাইয়া পাড়া ও আপা পেরাছড়াকে যুক্ত করেছে। সড়কটি নির্মিত হওয়ার পর থেকে বেড়েছে দর্শনার্থীর সংখ্যা।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র থেকে পাখির চোখে দেখতে এলাকাটি অনেকটা নিউজিল্যান্ডের সাদৃশ্য হওয়ায় এমন নামকরণ বলে ধারণা স্থানীয়দের। প্রতিদিন বিকেলে থেকে এখানে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়ে। অনেকে আবার প্রাতঃভ্রমণেও আসেন।
‘নিউজিল্যান্ডের’ প্রায়ই বেড়াতে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা চেলছি ত্রিপুরা। তিনি বলেন, ‘শহরের মধ্যে সময় কাটানোর মতো জায়গা নেই। নতুন সড়ক নির্মিত হওয়ার পর থেকে সবাই নিউজিল্যান্ডে আসছে। আমি প্রায়ই আসি। এখানে বিভিন্ন মানুষ শরীরচর্চাও করে। একটি সড়ক পুরা এলাকার দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। বর্ষায় বৃষ্টির পর এখান থেকে মেঘও দেখা যাবে। পর্যটন শহর খাগড়াছড়ির নতুন ভ্রমণ গন্তব্য হতে পারে নিউজিল্যান্ড।’
দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় পরে সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ করে খাগড়াছড়ি পৌরসভা। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো.জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘নগর পরিচলন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৬শ মিটার সড়কটি নির্মাণ করে। এতে ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি টাকা। খাগড়াছড়ি একটি পর্যটন শহর। এখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা বেড়াতে আসে। সুবিশাল ধানের খেত এরপর আলুটিলা শহর। এখানকার ভিউ অসাধারণ। মানসিক প্রশান্তির জন্য বিকেলে প্রচুর মানুষ আসে।
সকালে অনেকে প্রাতঃভ্রমণ করে। এখানে সড়কটি চলাচলের উপযোগী ছিল না। সড়কটি নির্মিত হওয়া নাগরিকেরা উপকৃত হচ্ছে। সড়কের পাশে ফুটপাত নির্মাণের কাজ চলছে। তাছাড়া এখানে স্ট্রিট লাইটও লাগানো হবে। পাশাপাশি সড়কের পাশে বিভিন্ন ফুলের গাছও লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’
Comments