Image description

শেখ হাসিনার পলায়নের পর জনগণের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা যে রাজনৈতিক দল বুঝতে ব্যর্থ হবে, তাদের রাজনীতিতে কোনো ভবিষ্যৎ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।  শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ক্র্যাব মিলনায়তনে জিয়াউর রহমান স্টাডি সার্কেল, যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত ‘ফ্যাসিস্ট আমলে গণমাধ্যম, বর্তমান অবস্থা: জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, “শেখ হাসিনার শাসনামলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, কারণ স্বৈরাচারের টিকে থাকতে এটি প্রয়োজন ছিল। জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতা ধরে রাখতে গণমাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়।”

তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র শুধু ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন নয়, অর্থনীতি ও গণমাধ্যমেও গণতান্ত্রিক প্রতিফলন প্রয়োজন। সাংবাদিকরা মুক্তভাবে কাজ করতে না পারলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না।”

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আশিক ইসলাম। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করে। এ আইনের আওতায় ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১,৪৩৬টি মামলায় ৪,৫২০ জনকে আসামি করা হয়, যার মধ্যে ৪৫১ জন সাংবাদিক। এছাড়া ৯৭ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে ৫০ জন ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন জিয়াউর রহমান স্টাডি সার্কেলের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ কাসেম। সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী।