বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ বুক ভরে শ্বাস নিতে পেরেছে। তিনি এ দিনকে দেশে বহুল প্রত্যাশিত পরিবর্তনের দিন হিসেবে উল্লেখ করেন। 

শনিবার (৯ আগস্ট) ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কাউন্সিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, “সমগ্র বাংলাদেশ এখন একটি ভালো পরিবর্তন প্রত্যাশা করছে। মানুষ চায় সামনের দিনগুলো যেন ভালো হয়। মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু ভালো হবে না, তবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।” তিনি জানান, জনগণ বিএনপির কাছে ভালো পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে, কারণ আগামী দিনে দেশ পরিচালনায় বিএনপির সম্ভাবনা বেশি।

তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু নিজেদের মধ্যে তা চর্চা করে না—এমন একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে। এটি পুরোপুরি সত্য নয়, তবে সীমাবদ্ধতার কারণে দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুরোপুরি চালু হয়নি।” বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাকশাল ভেঙে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়া স্বৈরাচার বিদায় করে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের নেতাদের দেখানো পথে গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করতে হবে। স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায় এবং দলের ভেতরে গণতন্ত্র গড়ে তুলতে হবে।”

তারেক রহমান জোর দিয়ে বলেন, “রাষ্ট্র পুনর্গঠনে ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আড়াই বছর আগে বিএনপি সমমনা দলগুলোর সঙ্গে এই দফাগুলো জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিল। জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে পারলে এগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের পর নিরপেক্ষ মানুষও বিএনপির কাছে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছে। দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা বাড়াতে হবে। সঠিক ও স্বচ্ছ ব্যবস্থা গড়ে তুললে জবাবদিহিতা ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হবে।”