মার্কিন শুল্ক চুক্তিতে ‘ভূ-রাজনৈতিক সমঝোতা’ থাকলে ‘হুমকি’ দেখছেন প্রিন্স

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স মন্তব্য করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে যদি 'নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক সমঝোতা জোরদার' হয়, তাহলে দেশের সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং কূটনৈতিক ভারসাম্য গুরুতর হুমকির মুখে পড়বে।
রোববার বাম গণতান্ত্রিক জোটের এক সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। সিপিবির সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স বলেন যে, বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, এই 'তথাকথিত ছাড়'-এর বিনিময়ে বাংলাদেশকে কিছু শর্ত মেনে চলতে হতে পারে, যেমন:
যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চ মূল্যে গম ও এলএনজি কেনা।
২৫টি বোয়িং বিমান ক্রয়।
১১০টি মার্কিন পণ্যকে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া।
বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রের খনিজ সম্পদের ওপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক সীমিত করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক সমঝোতা জোরদার করা হচ্ছে বলেও শোনা যাচ্ছে, যা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রিন্স বলেন, এসব বিষয়ে সরকারেরই উচিত সবকিছু স্পষ্ট করা।
অন্যান্য নেতার বক্তব্য ও জোটের কর্মসূচি
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, জনগণের সামনে এই গোপন চুক্তির খসড়া প্রকাশ এবং তাদের সম্মতি ছাড়া কোনো চুক্তি না করার আহ্বান জানান তিনি।
বাম গণতান্ত্রিক জোট ৫ আগস্ট 'গণঅভ্যুত্থান দিবস' পালনের জন্য দেশজুড়ে সভা, সমাবেশ, নিহতদের স্মরণ এবং আহতদের সঙ্গে দেখা করার মতো বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আব্দুস সাত্তার, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানাসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
Comments