
পিআর পদ্ধতিতে ‘কিছু পক্ষ’ অনির্বাচিত সদস্যদের মাধ্যমে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলছেন, ‘আমরা প্রস্তাব করেছি, উচ্চকক্ষ আইন পর্যালোচনা ও সুপারিশের কাজ করবে, কিন্তু কোনোভাবেই তারা সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার পাবে না। উচ্চকক্ষের সদস্যরা সরাসরি নির্বাচিত না হওয়ায় তাদের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের চিন্তা গণতান্ত্রিক চেতনাবিরোধী। সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার কেবল সার্বভৌম জনগণের দ্বারা, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের হাতে থাকা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি, কিছু পক্ষ সংবিধান সংশোধনকে কঠিন করতে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে অনির্বাচিত বা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে উচ্চকক্ষে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করতে চাইছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের চা-বিরতির সময় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই সনদে শুধু কমিশন নয়, সব রাজনৈতিক দল সই করবে। এটি একটি জাতীয় ঐকমত্য।
“এটি জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়। এটি আইনের চেয়েও বড়। জনগণের এ প্রত্যাশা (সংসদের মাধ্যমে) সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে যুক্ত করার অঙ্গীকার আমরা করেছি।”
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই সনদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি তুলেছে। এ স্বীকৃতি ছাড়া জুলাই সনদে সই না করার হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছে তারা। এমনকি সরকার ও কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকিও এসেছে জামায়াতের পক্ষ থেকে।
কিন্তু বিএনপি এখনই এর সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিরোধিতা করছে।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা বিতর্ক করব, মতপ্রকাশ করব, কিন্তু জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য গড়ে তুলব। জনগণের সার্বভৌম এখতিয়ারের ভিত্তিতেই আমরা এ সনদকে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করছি।’
Comments