
আওয়ামী লীগকে বারবার ধ্বংস করার চেষ্টা করা হলেও দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এর কোনো প্রভাব পড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। শনিবার (৫ জুলাই) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ‘গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন! টুঙ্গিপাড়ার মানচিত্র বদল! আ. লীগকে কবর দেওয়ার নীলনকশা!’ শিরোনামের এক বিশ্লেষণে তিনি এ কথা বলেন।
রনি বলেন, "আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল, যা তার প্রতিপক্ষের নিকট রীতিমতো একটি রাক্ষসে নাম, একটি সুনামির নাম, একটি আতঙ্কের নাম, একটি ধ্বংসের নাম। এ কারণে ১৯৫৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য সব সরকারের সময় চেষ্টা করা হয়েছে।" তিনি আইয়ুব খান, টিক্কা খান, ইয়াহিয়া খান, ইন্দিরা গান্ধী এবং জিয়াউর রহমানের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন।
তার মতে, "জিয়াউর রহমানের সময় থেকে আব্দুল মালেক উকিল, জোহরা তাজউদ্দীন, মিজানুর রহমান চৌধুরীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগে গ্রুপিং করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মদদে ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাস থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত এই প্রচেষ্টা ছিল। ৪ থেকে ৫টি গ্রুপে বিভক্ত ছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু নেতাকর্মীদের মধ্যে এর প্রভাব পড়েনি।"
ওই বিশ্লেষণে আওয়ামী লীগের সাবেক এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, "আওয়ামী লীগের আঁতুরঘর খ্যাত ফরিদপুরের ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন এবং পটুয়াখালীতে আমি মনোনয়ন পেয়েছি। আমার কাছে মনে হয়, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার চেয়ে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন-ভাঙ্গা-সদরপুর এবং পটুয়াখালীর গলাচিপা-দশমিনায় আওয়ামী লীগের প্রীতি অনেক বেশি।"
তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ আবার বিপদে পড়েছে। সেই বিপদ ’৫৪-এর মতো, ৭৯-এর মতো, ৭৫-এর মতো, ১৯৯১ সালের মতো, ১/১১-এর মতো। এখন সবাই আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।"
রনি বিশ্বাস করেন, যারা আওয়ামী লীগকে টার্গেট করছেন, তারা বড়জোর দলের 'শরীর' এবং 'ঘৃণিত লোকদের' আক্রমণ করার চেষ্টা করছেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে আওয়ামী লীগের যে প্রীতি আছে, সেখানে আঘাত করতে পারছেন না এবং "নৌকার জায়গায় অন্য কোনো প্রতীকের প্রলেপ দেওয়া যাচ্ছে না।"
রনি প্রশ্ন তোলেন, "এখন যদি টুঙ্গিপাড়া ও গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করা হয়, যদি বঙ্গবন্ধুর মাজার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়; তাতে কি আওয়ামী লীগ শেষ হবে? সেখানে কি ইনকিলাব জিন্দাবাদ স্লোগান আসবে?"
Comments