
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে এবং প্রচারণায় পোস্টার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে সর্বোচ্চ ১৬ ফুট আকারের বিলবোর্ড ব্যবহার করে প্রচার চালানোর অনুমতি থাকবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সংশোধিত বিধিমালা চূড়ান্ত করেছে।
নতুন বিধিমালা ও শাস্তির বিধান-
পোস্টার নিষিদ্ধ, বিলবোর্ড অনুমোদিত: নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে প্রতি আসনে সর্বোচ্চ ২০টি বিলবোর্ড ব্যবহার করা যাবে, যেগুলোর আকার সর্বোচ্চ ১৬ ফুট পর্যন্ত হতে পারবে।
শাস্তি বৃদ্ধি: আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দেড় লাখ টাকা করা হয়েছে। প্রার্থিতা বাতিলের বিধানও যুক্ত করা হয়েছে। তবে কারাদণ্ডের আগের বিধান (ছয় মাস পর্যন্ত) অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম: সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের সুযোগ থাকলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে কোনো কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রচার সামগ্রী: নির্বাচনী প্রচারের জন্য পলিথিন ও রেকসিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। প্রার্থীরা কোনো প্রতিষ্ঠান বা সমিতি থেকে সংবর্ধনা নিতে পারবেন না।
প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম: ড্রোন, কোয়াডকপ্টার বা এ ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করে প্রচার বা ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা যাবে না।
সামাজিক মাধ্যমের নিয়ম: প্রার্থীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আগে জানাতে হবে। ঘৃণা বা উস্কানিমূলক মন্তব্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান মাসউদ জানিয়েছেন, আচরণবিধির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং এতে জরিমানা ও প্রার্থিতা বাতিলের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিলবোর্ড ব্যবহারের কারণে ব্যয় বাড়বে কি না, তা নির্ভর করবে প্রার্থীর ইচ্ছার ওপর।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে এবং ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হবে। সেই লক্ষ্যে ইসি আচরণবিধি ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের কাজ শেষ করেছে।
Comments