Image description

আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার বৈঠক কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর রেলভবনে শুরু হওয়া এই বৈঠক প্রায় এক ঘণ্টা চললেও কোনো ফলাফল মেলেনি। বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে পুনরায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত ছিলেন। ফাওজুল কবির জানান, সমস্যা সমাধানে গঠিত সাত সদস্যের কমিটির পাঁচজন এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “যমুনা অভিমুখে শিক্ষার্থীদের যাত্রা ও তাদের ওপর হামলা অনাকাঙ্ক্ষিত। পুলিশের প্রতিনিধি এ বিষয়ে ক্ষমা চাইবেন।”

শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা জানান, তারা আন্দোলনরত সহপাঠীদের সঙ্গে বৈঠকের বিস্তারিত আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি:

  1. ক্ষমা ও জবাবদিহি: হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে এবং জবাবদিহি করতে হবে।

  2. কমিটি সংস্কার: শিক্ষক ও আন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে অবিলম্বে কমিটি সংস্কার করতে হবে।

  3. দাবি বাস্তবায়ন: তিন দফা দাবি দ্রুত নির্বাহী আদেশে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মেনে নিতে হবে। উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে ঘটনাস্থলে এসে নিশ্চয়তা দিতে হবে।

  4. চিকিৎসা ও নিরাপত্তা: হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ সরকারকে বহন করতে হবে এবং আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

  5. দোষীদের শাস্তি: শিক্ষার্থী রোকনের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও চাকরি থেকে বহিষ্কার এবং হামলায় জড়িত ডিসি মাসুদকে বহিষ্কার করতে হবে।

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির জানান, বৃহস্পতিবার পুরো কমিটি, শিক্ষক ও প্রকৌশলীদের নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তবে, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।