
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়দান অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোর প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার (২৪ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বার্মার রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীদের প্রতি, যারা সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুতির শিকার, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন জানাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য সাধুবাদ জানাই। এছাড়া, এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকেও শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।”
এই প্রশংসা এসেছে যখন কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিন দিনের ‘স্টেকহোল্ডার সম্মেলন’ শুরু হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস অংশ নেবেন। এই সম্মেলনের প্রস্তাব ও বক্তব্যগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে তুলে ধরার কথা রয়েছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আগমনের আট বছর পূর্ণ হচ্ছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়। এর আগে থেকেই ওই এলাকায় চার লাখ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছিলেন। জাতিসংঘ এই নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী উদাহরণ’ এবং যুক্তরাষ্ট্র ‘জেনোসাইড’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। উখিয়ার কুতুপালং এখন বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের অং সান সু চি সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তি সই করলেও, ২০১৯ সালে দুই দফা প্রত্যাবাসন উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। করোনাভাইরাস মহামারী ও ২০২১ সালে মিয়ানমারে সামরিক জান্তার ক্ষমতা দখলের পর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া থমকে যায়। বাংলাদেশ বারবার অভিযোগ করেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর যথেষ্ট চাপ প্রয়োগে ব্যর্থ হয়েছে।
Comments