Image description

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। পরপর তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনের কারণে তৈরি হওয়া আস্থাহীনতা কাটিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনাকেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, “সবচেয়ে বড় কথা হলো জনগণের আস্থা অর্জন করা। রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থা অর্জন করতে হবে। তারা ব্যর্থ হলে তো বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।”

নির্বাচন বিশ্লেষক জেসমিন টুলী মনে করেন, ভোটারদের আস্থা বাড়াতে নির্বাচন কমিশনকে আরও বেশি দৃশ্যমান কার্যক্রম ও প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। তিনি বলেন, “ভোটারদের বলতে হবে, আপনারা ভোটকেন্দ্রে আসেন।”

ইসি ইতোমধ্যেই ভোট বাতিল ও নির্বাচিত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের মতো ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত করে আচরণবিধি প্রস্তাব করেছে, যা এখন অধ্যাদেশ জারির অপেক্ষায়। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, শুধু আইন নয়, রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকাও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সরকার মানে প্রশাসন, সরকার মানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তারা যদি সঠিকভাবে ভূমিকা পালন না করে তাহলে কিন্তু স্বাধীন-নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না।”

জেসমিন টুলীও রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দলগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে যেন সবাই সমান সুযোগ পায়।