
১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে কয়েকজন হেনস্তা ও মারধরের শিকার হওয়ার পর এ ঘটনার বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈন্যু মারমা প্রথমে বলেছিলেন, তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের ‘নির্দেশনা’ অনুযায়ী কাজ করছেন। তবে পরে তিনি তার বক্তব্য থেকে সরে আসেন এবং বলেন যে তিনি ‘ভুল’ করে এই কথা বলেছেন।
শুক্রবার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে সাংবাদিকদের সামনে ওসি ক্যশৈন্যু মারমা বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম ‘সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে’, তাই তারা সেই নির্দেশনা অনুসরণ করবেন। তিনি আরও দাবি করেন যে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তারা সেটিও অনুসরণ করছেন।
ওসির এই বক্তব্যের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম যোগাযোগমাধ্যমকে জানান যে, তিনি পুলিশকে কোনো নির্দেশনা দেননি। পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া আমার কাজ নয়। তিনি বলেন, “পুলিশ তো ইন্সট্রাকশন পায় তাদের চিফের কাছ থেকে। আমরা তো আমাদের তরফ থেকে কোনো ইন্সট্রাকশন দিই না।” তিনি আরও বলেন, একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন যে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় ১৫ আগস্ট বা অন্য যেকোনো দিনে তারা কোনো মিটিং-মিছিল করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রেস সচিবের মন্তব্যের পর শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডি থানার ওসি ক্যশৈন্যু মারমা তার ভুল স্বীকার করে বলেন, “আমাদের ওপরে নির্দেশনা আছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রম প্রতিরোধ। সেটা বলতে গিয়ে মুখ ফসকে ওটা বের হয়ে গেছে।” তিনি আরও বলেন, “এটা আমার ভুল হয়ে গেছে। এটা আমি এক্সপাঞ্জ করছি।”
এ বিষয়ে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আলম জানান, “প্রেস সচিবের নির্দেশনা কেন থাকবে। আমরা কি লাইন ছাড়া কাজ করব। আমরা কমিশনার স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করব। আর প্রেস সচিবের নির্দেশনা পালনের কোনো সুযোগ নেই।”
ঘটনার সময় ৩২ নম্বরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত থাকলেও হামলাকারীদের ঠেকাতে দেখা যায়নি। হামলার শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে একজন রিকশাচালকও ছিলেন, যিনি ফুলের তোড়া নিয়ে এসেছিলেন।
Comments