Image description

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক দ্রুত উন্নত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায়, আগামী ২৩ আগস্ট ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন মঙ্গলবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

দ্য ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কে উষ্ণতা ফিরে এসেছে। এই সময়ে পারস্পরিক বাণিজ্য এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইসহাক দার মূলত চলতি বছরের এপ্রিলে ঢাকা সফরের পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার কারণে সে সফর স্থগিত হয়ে যায়।

দ্য ডন-এর পক্ষ থেকে তার সফরের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসহাক দার এক কথায় ‘হ্যাঁ’ বলে নিশ্চিত করেন। তার এই সফরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় আরও জোরদার করা।

সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। চলতি বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালোচ ঢাকা সফর করেন। এর আগে, গত মার্চে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

এছাড়া, গত ফেব্রুয়ারিতে দীর্ঘ বিরতির পর দুই দেশের মধ্যে সরকার-থেকে-সরকার সরাসরি বাণিজ্য শুরু হয়, যেখানে পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়। গত জানুয়ারিতে দুই দেশের সেনাবাহিনী বাইরের প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য 'টেকসই অংশীদারত্ব' বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে। 

২০২৪ সালের নভেম্বরে করাচি থেকে চট্টগ্রামে একটি কন্টেইনার জাহাজ এসে পৌঁছায়, যা কয়েক দশকের মধ্যে প্রথম সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল ছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে মিসরের কায়রোতে একটি সম্মেলনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন।