Image description

সকালে ঘুম থেকে উঠার পর চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে দিন শুরু করা অনেকেরই অভ্যাস। এরইমধ্যে আবার অনেকেই চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেয়ে সকালের নাশতা সেরে ফেলেন। চা-বিস্কুট খাওয়া হলে শরীর ও মনে স্বস্তি আসে। কিন্তু জানেন কী, চা-বিস্কুট খাওয়ার ফলে কী হয়?

এনার্জি বুস্ট: চা-বিস্কুট খাওয়া হলে শরীর কিছুটা হলেও শক্তি পায়। যা ঘুম ভাঙার পর শরীরকে চাঙা করতে সহায়তা করে।

মন ভালো রাখে: চায়ে বিদ্যমান ক্যাফেইন এবং বিস্কুটের হালকা মিষ্টি স্বাদ মনকে প্রফুল্ল করতে পারে। বিশেষ করে ক্লান্তিকর সকালে মন ভালো করতে চা-বিস্কুটই যথেষ্ট।

সোশ্যাল কানেকশন: এমন অনেক পরিবার রয়েছে, যেখানে সকালে চায়ের টেবিল ঘিরে নানা আলোচনা হয়। এতে পারিবারিক বন্ধন অটুট হয় বলে সবার বিশ্বাস।

চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক:

ফাঁপা ক্যালোরি: সাধারণত বিস্কুটে প্রচুর পরিমাণ চিনি ও পরিশোধিত ময়দা থাকে। যা আপনার শরীরে অল্প সময়ের মধ্যে ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দিতে সক্ষম এবং ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

অ্যাসিডিটি: চায়ে থাকা ক্যাফেইন ও ট্যানিন যদি খালি পেটে পড়ে তাহলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাসট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

ওজন বৃদ্ধি: প্রতিদিন সকালে বিস্কুট খাওয়া হলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হয়। নিয়মিত এভাবে খাওয়া হলে স্বাস্থ্য বাড়ার ঝুঁকি থাকে।

পুষ্টির ঘাটতি: চা ও বিস্কুট খাওয়ার ফলে সাময়িক তৃপ্তি পাওয়া যায়। কিন্তু এতে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের অভাব থেকেই যায়। যেমন- প্রোটিন, ফাইবার বা ভিটামিনের অভাব থেকে যায়।

বিকল্প উপায়: সুষম সকালের খাবার: ফলমূল, ওটমিল, নাটস বা হালকা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দিয়ে দিন শুরু করা যেতে পারে। এসব উপাদান শরীরের জন্য উপকারী।

হার্বাল চা: সাধারণ দুধ-চা’র পরিবর্তে হার্বাল বা গ্রিন টি পান করতে পারেন। এ জাতীয় চা পেটের সমস্যা দূর করে।

হোল গ্রেইন বিস্কুট: বিস্কুট খেতে মন চাইলে হোল গ্রেইন বা লো সুগার বিস্কুট খেতে পারেন।

সকালে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়া হলে শরীর তাৎক্ষণিক শক্তি পায় ঠিকই, কিন্তু এভাবে নিয়মিত খাওয়া হলে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ জন্য এই অভ্যাস সচেতনভাবে মেনে চলতে হবে।