Image description

ফ্যাসিবাদী দল’ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের নিষিদ্ধের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। শুক্রবার (৯ মে) দুপুর সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলা প্রাঙ্গণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমবেত হন। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটে গিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে।

বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ‘এ্যাকশন এ্যাকশন, ডাইরেক্ট এ্যাকশন’, ‘খুনি লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট এ্যাকশন’, ‘চব্বিশের এ্যাকশন, ডাইরেক্ট এ্যাকশন’, ‘আবু সাঈদের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ’, ‘আওয়ামী লীগের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ গত ১৬ বছরে প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মীকে ‘শহীদ’ করেছে এবং এমন কোনো ‘নিকৃষ্ট কাজ’ নেই যা ছাত্রলীগ করেনি। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের বিচারের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন। আব্দুল হামিদের মতো কেউ পালিয়ে গেলে এবং সরকার তাদের সাহায্য করলে ‘জুলাই বিপ্লব’ হাতছাড়া হতে বেশি সময় লাগবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, প্রায় নয় মাস পেরিয়ে গেলেও ‘খুনি হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার’-এর যে ম্যান্ডেট ছিল, অন্তর্বর্তী সরকার তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি। তিনি বলেন, এই অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা তাদের ১৬০০ ‘শহীদ’ ভাইয়ের রক্ত। জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিতে না পারা বিপ্লবীদের ব্যর্থতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিপ্লবীরা এখনো রাজপথ ছাড়েনি এবং তাদের লড়াই শেষ হয়নি। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং তাদের দোসরদের বিচারের দাবি জানান। অন্যথায় ‘জুলাই শহীদদের’ প্রতি তাদের দায়িত্ব থেকে কখনো রেহাই পাবেন না বলে তিনি মন্তব্য করেন।