
২০২৫-২৬ কর বছরের জন্য অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রম শুরু হওয়ার প্রথম ১০ দিনে ৯৬ হাজার ৯৪৫ জন করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি।
গত ৪ আগস্ট অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে যে, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণ, শারীরিক প্রতিবন্ধী, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি এবং মৃত ব্যক্তির আইনগত প্রতিনিধি ছাড়া দেশের সকল ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার জন্য ই-রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। তবে পরে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের এই বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
যদি কোনো করদাতা ই-রিটার্ন সিস্টেমে সমস্যার কারণে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে না পারেন, তবে তিনি ৩১ অক্টোবরের মধ্যে নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে উপকর কমিশনারের কাছে আবেদন করতে পারবেন। অতিরিক্ত বা যুগ্ম কর কমিশনারের অনুমোদনের পর তিনি পেপার রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
করদাতারা ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদ বা অন্য যেকোনো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ঘরে বসেই কর পরিশোধ করতে পারবেন। ই-রিটার্ন দাখিলের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্তিস্বীকার পত্র এবং আয়কর সনদও প্রিন্ট করে নেওয়া যাবে।
ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টার (০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১) চালু করেছে। এছাড়া, http://www.etaxnbr.gov.bd পোর্টালে লিখিতভাবে সমস্যার বিবরণ দিয়েও সমাধান পাওয়া যাচ্ছে। এনবিআর সকল করদাতাকে সময়মতো ই-রিটার্ন দাখিল করে একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
Comments