
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক শিশুর দাফনের প্রস্তুতির সময় শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়ার পর তার সৎ মাকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার সকালে উপজেলায় শরীফপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রাম থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেগমগঞ্জ থানার এসআই শহীদুল ইসলাম।
তিন বছর বয়সী সুমাইয়া আক্তার ওই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী ফয়সাল আহমদের মেয়ে। শিশুটি তার সৎ মা শিউলি আক্তারের সঙ্গে চৌমুহনী পৌরসভার একটি ভাড়া বাসায় থাকত।
শিশুটির চাচা সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাতে অ্যাম্বুলেন্সে সুমাইয়ার মরদেহ দাফনের জন্য খানপুরে নিয়ে আসেন শিউলি আক্তার।
সাইফুল বলেন, সুমাইয়ার মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে শিউলি জানান দুপুরের দিকে তিনি সুমাইয়াকে মারধর করেছিলেন। পরে গোসল করিয়ে ঘুম পাড়ান। কিন্তু বিকালের দিকে তাকে মৃত অবস্থায় পান।
শিউলির দাবি, বিষয়টি তিনি প্রবাসী স্বামীকে জানান এবং তার পরামর্শে একজন চিকিৎসককে বাসায় নিয়ে যান। পরে চিকিৎসক শিশুটিকে পরীক্ষা করে মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেন। তখন প্রবাসী স্বামীর পরামর্শে শিশুটির মরদেহ খানপুরে নিয়ে আসেন তিনি।
রোববার সকালে পরিবারের সদস্যরা শিশুটির দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু মরদেহ গোসল দেওয়ার সময় তার গলায় আঘাতের চিহ্ন ও কানে রক্ত দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। তাৎক্ষণিক তারা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানান।
এসআই শহীদুল ইসলাম বলেন, সুমাইয়াকে তার সৎ মা মেরে ফেলেছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তখন সুরতহালে মৃত শিশুর গলায় ও ডান কানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে দেখা যায়।
পরে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং তার সৎ মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে শিশুটির মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে। এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, শিশুটির স্বজনরা থানায় এসেছেন, তারা সৎ মায়ের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
Comments