
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানায় পুলিশি হেফাজতে (রিমান্ড) এক আসামিকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই আসামির শরীর চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন এবং সিভিল সার্জনকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার জয়পুরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এই আদেশ দেন। আদালতের আদেশের পর অভিযুক্ত উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রব্বানীকে আক্কেলপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, আক্কেলপুর থানায় গত মার্চে ইসলামী ব্যাংকের একটি এজেন্ট শাখায় টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তিনটি মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়। ৪ আগস্ট তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাদের। এর মধ্যে আসামি মাসুদ রানা আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগ করেন যে, এসআই গোলাম রব্বানী তাকে হাতকড়া লাগিয়ে বেধড়ক মারপিট করেছেন। আদালতের পর্যবেক্ষণে মাসুদ রানার শরীরে ক্ষতচিহ্ন পরিলক্ষিত হয়। এই কারণে মাসুদ রানা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানালে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে।
আদালত একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক দিয়ে মাসুদ রানার দেহ পরীক্ষা করে আঘাতসংক্রান্ত প্রতিবেদন জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। একইসাথে আদালত আক্কেলপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে এবং ঘটনাটি তদন্ত করে ১৭ আগস্টের মধ্যে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
এ বিষয়ে এসআই গোলাম রব্বানী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "মাসুদ রানা টাকা আত্মসাতের কথা গ্রাহকদের সামনে স্বীকার করেছেন। এখন মামলাগুলো অভিযোগপত্র প্রস্তুতের পর্যায়ে রয়েছে। মাসুদ রানা মামলা থেকে বাঁচতে কৌশল খুঁজছেন।"
তবে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, "এসআই গোলাম রব্বানী পুলিশি হেফাজতে থাকা আসামির সঙ্গে অপেশাদার আচরণ করেছেন। এ কারণে তাঁকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।"
Comments