
দুর্নীতির একটি মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে হাইকোর্ট ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন। সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ঢাকার একটি বিশেষ আদালত ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই তাকে এই সাজা দিয়েছিল।
বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন এবং বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জি কে শামীমের আপিল মঞ্জুর করে তাকে খালাস দেন। এর আগে ঢাকার বিশেষ আদালত-১০ এর বিচারক মো. নজরুল ইসলাম বলেছিলেন যে, প্রসিকিউশন জি কে শামীম ও অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আদালত এই মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ২০২০ সালের ৪ আগস্ট জি কে শামীমের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। তদন্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ অভিযোগপত্রে জানান, শামীমের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩৩৭ কোটি টাকারও বেশি ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে এবং রাজধানীতে ৪১ কোটি টাকা মূল্যের ৫২ কাঠা জমি আছে।
অভিযোগে বলা হয়, তিনি সরকারি দপ্তরে টেন্ডারবাজি এবং বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটে চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) শামীমকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা হয়। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর আরেকটি ট্রাইব্যুনাল অস্ত্র মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
Comments