রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সাধারণ জ্ঞান প্রয়োগ করে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানো সম্ভব। তবে উপায়ান্তর না থাকলে বলপ্রয়োগের জন্যও ক্রেমলিন প্রস্তুত। বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, "যুদ্ধের অবসান ঘটাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন প্রশাসন আন্তরিক প্রচেষ্টা করছে। আমি আশাবাদী, সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় আমি আলোর ছটা দেখতে পাচ্ছি। সাধারণ জ্ঞান কাজে লাগালে, যুদ্ধ থামাতে গ্রহণযোগ্য একটা সমাধান মেনে নেওয়া সম্ভব বলেই আমার মনে হয়।"

তবে প্রয়োজনে অস্ত্রের জোর খাটাতেও প্রস্তুত আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, "আলোচনায় কাজ না হলে, অস্ত্রের জোরে আমাদের সব সমাধান করতে হবে।"

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে চীনের বিজয় উদযাপনে আয়োজিত বার্ষিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে বেইজিংয়ে গিয়েছিলেন পুতিন। তিনিসহ ২৬টি দেশের নেতা চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

সংকট সমাধানে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার জন্যও রাজি আছেন পুতিন। তবে শর্ত হলো, জেলেনস্কিকে মস্কোয় এসে বৈঠক করতে হবে। এর আগে জেলেনস্কির নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করতে চাইতেন না রুশ প্রেসিডেন্ট।

যদিও আলোচনার কথা বলেছেন, নিজের অবস্থান থেকে সরার কোনও লক্ষণ দেখাননি পুতিন। যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে তার দাবি: ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে, দখলকৃত ভূমি রাশিয়াকে ছেড়ে দিতে হবে এবং নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে হবে।

ইউক্রেন এসব দাবিকে অগ্রহণযোগ্য বলে খারিজ করে দিয়েছে, বলছে এটা আত্মসমর্পণের সমান। এছাড়া, মস্কোয় বৈঠকের প্রস্তাবেও আপত্তি জানিয়েছে কিয়েভের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।