Image description

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আকস্মিকভাবে তিব্বতে সফরে গিয়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জাতিগত ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার লাসায় অনুষ্ঠিত এক জনসভায় তিনি প্রায় ২০ হাজার মানুষের সামনে ভাষণ দেন, যেখানে তিনি বলেন ‘তিব্বতকে শাসন, স্থিতিশীল ও উন্নত করতে হলে প্রথম শর্ত হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক স্থিতিশীলতা, জাতিগত ঐক্য ও ধর্মীয় সম্প্রীতি’।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

এই সফরটি চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে তিব্বত গঠনের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। তিব্বতকে ১৯৫৯ সালে বেইজিংয়ের দখল নেওয়ার পর ১৯৬৫ সালে অঞ্চলটিকে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি)।

৭২ বছর বয়সি শি জিনপিংয়ের এ সফরে দালাই লামার নাম উল্লেখ করা হয়নি। ১৯৫৯ সালের ব্যর্থ বিদ্রোহের পর থেকে তিনি ভারতে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন। গত জুনে দালাই লামা ঘোষণা করেছিলেন যে তার উত্তরসূরি বাছাইয়ের অধিকার তার দফতরের, বেইজিংয়ের নয়। তবে চীন দাবি করে, উত্তরসূরি মনোনয়নের ক্ষমতা তাদের হাতেই রয়েছে।

বিবিসি দাবি করেছে, দালাই লামা সবসময় “মধ্যপন্থা” বা চীনের ভেতরে প্রকৃত স্বশাসনের পক্ষে কথা বলেছেন, যা বেইজিং “বিচ্ছিন্নতাবাদ” হিসেবে চিহ্নিত করে।

চীন দাবি করে তিব্বতিদের জীবনমান তাদের শাসনামলে উন্নত হয়েছে। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, বেইজিং শতাব্দী-প্রাচীন তিব্বতি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয় ধীরে ধীরে মুছে দিচ্ছে। সম্প্রতি সিচুয়ান প্রদেশের এক মঠে বিবিসিকে সন্ন্যাসীরা জানিয়েছিলেন, তারা মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দমন-পীড়নের শিকার হচ্ছেন।

চীনের নীতির অংশ হিসেবে তিব্বতি শিশুদের এখন রাষ্ট্রীয় স্কুলে মান্দারিন শেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি “ধর্মীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ” আরও জোরদারের আহ্বান জানান শি, যাতে “তিব্বতি বৌদ্ধধর্ম সমাজতান্ত্রিক সমাজের সঙ্গে খাপ খায়।”