Image description

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ক্যাশলেস ইকোনমি (নগদবিহীন অর্থনীতি) যেন ইনকামলেস ইকোনমিতে (আয়বিহীন অর্থনীতি) পরিণত না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। একইসঙ্গে ব্যক্তি খাতে আলাদা কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি ইশতেহারে যেন ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি যুক্ত থাকে তা, নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ সামিট ২০২৫’-এ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। মাস্টারকার্ড ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস (আইসিএমএবি) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নগদবিহীন অর্থনীতি এগিয়ে নিতে সাম্প্রতিক সময়ে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি কেনাকাটা আইন সংশোধন, রাজস্বনীতিতে পরিবর্তন, সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন ও ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের প্রচেষ্টার মতো বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে ৭৫ শতাংশ লেনদেন ডিজিটালি করার লক্ষ্য নিয়েছে। তবে এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সরকারের নীতি সহজ করা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো, অবকাঠামো দুর্বলতাসহ যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো সমাধান করতে হবে।

তিনি বলেন, সার্বিক লেনদেন ব্যবস্থা (পেমেন্ট ইকোসিস্টেম) বহুমুখী করতে হবে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসকে (এমএফএস) নগদ জমা ও উত্তোলনের বাইরে বিস্তৃত করতে হবে, যেন এগুলো রাস্তাঘাটের দোকানসহ বিভিন্ন অনানুষ্ঠানিক খাতেও ব্যবহৃত হয়। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ফিনটেক, টেলিকম ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক নগদবিহীন অর্থনীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।