Image description

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতার কারণে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষকদের অনিয়মিত উপস্থিতি এবং অশোভন আচরণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে, যা অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

হাজী খুরশিদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেছে, প্রধান শিক্ষক শিপ্রা দাশ, সহকারী শিক্ষক সানজিদা আক্তার ও রুমি ভট্টাচার্য বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। তবে সহকারী শিক্ষক মো. আবুল কালাম ও বাবলী আচার্য সেদিন উপস্থিত ছিলেন না। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সানজিদা আক্তার নিয়মিত তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও অশোভন ভাষা ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শিপ্রা দাশ বলেন, “আমরা বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে স্কুল থেকে চলে যাই। এতে সমস্যা কোথায়?”

হাসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর ২টায় প্রধান শিক্ষক ফরমান আলীকে পাওয়া যায়নি। সাংবাদিকদের উপস্থিতির খবর পেয়ে তিনি ২টা ১৪ মিনিটে বিদ্যালয়ে ফিরে বলেন, “আমি হোম ভিজিটে ছিলাম।” একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাঈমা আক্তার দুপুরের খাবারের জন্য বাড়ি গিয়ে বিকেল ২টা ১৫ মিনিটে ফিরেন। গত ২৬ আগস্ট বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে এই বিদ্যালয় তালাবদ্ধ পাওয়া গিয়েছিল।

আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সালমা বেগম ও সহকারী শিক্ষক বাবর আহমদ, মাছুমা আক্তার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। জানতে চাইলে সালমা বেগম বিভিন্ন অজুহাত দেখান।

অভিভাবকরা বলেন, “শিক্ষকদের কাছ থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি। খারাপ ব্যবহার শিশুদের মানসিক বিকাশে ক্ষতিকর।” স্থানীয়রা শিক্ষকদের উপস্থিতি ও আচরণের ওপর কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপময় দাস চৌধুরী জানান, “অনিয়মের বিষয়ে আমরা অবগত। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম বলেন, “তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”