Image description

পতিত জমিতে জৈব পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো কলা চাষ করে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের কৃষক আকবর আলী। স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি-রেইনস) প্রকল্পের আওতায় মেয়ে আনুকা ইয়াসমিনের নামে নেয়া বসতবাড়ি ও আশেপাশের জমিতে উচ্চমূল্য ও পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল ও সবজি বাগান প্রদর্শনীর  মাধ্যমে  ৫০ শতাংশ জমিতে সবরী জাতের ৪৫০ টি কলার চারা রোপন করেন কৃষক আকবর আলী। 

৪০ হাজার টাকা খরচে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সঠিক পরিচর্যায় বর্তমানে তার বাগানে প্রতিটি গাছে কলা ধরেছে,যা প্রতিটি গাছের কলা ছুরি ৪০০ টাকা ধরে বিক্রি করছেন। এতে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক আকবর আলী। আকবর আলীর কলাবাগান দেখতে  প্রতিনিয়ত আশেপাশের কৃষকরা ভিড় জমাচ্ছেন । তারাও কলাবাগান করতে নিচ্ছেন পরামর্শ। 

স্থানীয়রা জানান, এই এলাকায় প্রথমবারের মতো আকবর আলী কলা চাষ করেছে, ফলনও ভালো হয়েছে, ফল চাষে তিনি ব্যাপক লাভবান হবেন। 

কৃষক আকবর আলী জানান, আমার ৫০ শতক জমিতে তেমন কোনো সফল হতো না, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি কলাবাগান করি, তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শে বাম্পার ফলন হয়েছে,এখান থেকে আমি লাখ টাকার বেশি আয় করব। 

ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকারিয়া জানান,আকবর আলী ৫০ শতাংশ  জমিতে তেমন কোন ফসল হয়না,আমার কাছে এসে পরামর্শ চাইলে  আমরা তাকে কৃষি অফিস থেকে  কলার প্রদর্শনী দেই এবং কলার ফলন যাতে ভালো হয় সেজন্য পরামর্শ দেই, এখন তার কলার ফলন খুব ভালো হয়েছে তিনি ইতিমধ্যে কলা বিক্রি শুরু করেছেন। তার দেখে অনেকেই কলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এবং আমাদের কাছে পরামর্শ চাচ্ছেন। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানান, এসএসিপি-রেইনস প্রকল্পের আওতায় উচ্চমূল্যের ফসলের প্রদর্শনী স্থাপন করেছি যার মধ্যে  কলা রয়েছে, কৃষকের ফলন ভালো হয়েছে এবং বাজার মূল্য ভালো পাচ্ছে আমরা কৃষকের  সাফল্য কামনা করছি।