পটুয়াখালী-৩ আসন
আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে বিএনপির জোরালো সম্ভাবনা

গলাচিপা-দশমিনা উপজেলা নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী-৩ আসনটি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ঐতিহ্যগতভাবে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনটি বিগত সময়ে বিতর্কিত প্রার্থী মনোনয়নের কারণে আলোচনায় ছিল। তবে, আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও সময়ের পরিবর্তনে ভোটারদের মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে। বিএনপির জনপ্রিয় নেতাদের উত্থানে এ আসন এখন আর শুধু নৌকার ঘাঁটি নয়।
এ আসনে মোট ভোটার ৩,৫২,২৬১ জন, যার মধ্যে পুরুষ ১,৭৭,১৫৪, নারী ১,৭৫,১০৫ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ২ জন ভোটার রয়েছেন। অতীতে আওয়ামী লীগের মরহুম আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন চারবার এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে বিএনপির মরহুম শাহজাহান খান বিতর্কিত নির্বাচনে জয়ী হন। এছাড়া ২০০৮ সালে গোলাম মাওলা রনি এবং ২০১৮ ও ২০২৪ সালে এসএম শাহজাদা আওয়ামী লীগ থেকে এমপি হন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হওয়ায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ ও ইসলামী আন্দোলনের জন্য এ আসনে বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিএনপির হাসান মামুন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, এবং হাওলাদার মো. ইফতিয়াস উদ্দিন জয়, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও দশমিনা উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জনপ্রিয়তায় এগিয়ে। তাদের দৃঢ় বন্ধুত্ব থাকলেও মনোনয়নের জন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। এছাড়া গোলাম মাওলা রনি, শিপলু খান ও গোলাম মোস্তফাও বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন।
জামায়াতে ইসলামী অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ-আলমকে এবং ইসলামী আন্দোলন হাফেজ মাওলানা মুফতী আবু বকর সিদ্দীককে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ট্রাক প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবেন, যদিও বিএনপির সঙ্গে জোটের গুঞ্জন ছিল।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হাওলাদার মো. ইফতিয়াস উদ্দিন জয় বলেন, “সাধারণ মানুষের চাওয়া অনুযায়ী আমি পটুয়াখালী-৩ থেকে বিএনপির মনোনয়ন চাই। আমার দলীয় কর্মকাণ্ড ও সাংগঠনিক দক্ষতার ভিত্তিতে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে বিশ্বাস করি। হাসান মামুনের সঙ্গে আমার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। দলের মনোনয়ন পেলে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করব।”
Comments