Image description

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে বাঙালি নদীর শাখায় পানির প্রবাহ রোধ করে নিষিদ্ধ ঘোষিত খরা জাল (ফিক্সড) ইঞ্জিনের মাধ্যমে বেশ কিছু হল স্থানীয় প্রভাশালীদের ছত্র-ছায়ায় দেশীয় সকল প্রজাতির পোনা থেকে সব শ্রেনীর মাছ নিধনে ভ্রাম্যমান মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করে প্রশাসন। এতে অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা করায় অভিযানে অংশ নেয়া দুই সদস্য আহত হয়েছে। আহত দুইজন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগের ভিত্তিতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানার নেতৃত্বে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মিজানুর রহমান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায়, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর বাঙালি শাখা নদীতে খরা জাল (ফিক্সড) ইঞ্জিনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন। এ অভিযান চলাকালে ১০/১৫ জনের এক সঙ্গবদ্ধদল অভিযানে অংশ টিমের সদস্যদের উপর অতর্কিত ভাবে সন্ত্রাসী হামলা করে, অভিযানে বাঁধা প্রদান করেন। এতে হাসান ও নবানু নামের দুই ব্যক্তি আহত হলে, তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এই বাঁধা অপেক্ষা করে প্রশাসন ৪টি খরা (ফিক্সড) ইঞ্জিন উচ্ছেদ করে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা জানান, মহিমাগঞ্জ বাঙালি শাখা নদীতে নিষিদ্ধ জাল উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেয়া শ্রমিকদের উপর অতর্কিত হামলায় আহত শ্রমিকরা হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।