Image description

ফরিদপুরের সালথায় বাড়ির জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে মো. জাহিদুর রহমান চুন্নু (৬৫) নামে এক বিএনপির নেতার বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। হামলাকারীরা ওই বিএনপি নেতার অন্তত ৪টি বসতঘর ভেঙে প্রায় গুঁড়িয়ে দেয়। এ সময় হামলা ঠেকাতে গিয়ে অন্তত ৫ জন আহত হন।

আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) ভোরে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দী গ্রামের ভরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহিদুর রহমান রহমান চুন্নু উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও পল্লী চিকিৎসক। হামলাকারীরা স্থানীয় প্রভাবশালী আউয়াল মুন্সীর সমর্থক বলে জানা গেছে।

বিএনপি নেতা জাহিদুর রহমান জানান, বাড়ির জমির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী মো. কাউছার কাজীর সাথে আমার বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। বিষয়টি নিয়ে অনেক দরবার-সালিশ হয়েছে। মামলাও চলমান রয়েছে। তবে কাউছার কাজী প্রবাসে অবস্থান করলেও তার ভাই হাসান কাজী আমাদের কাউকে না জানিয়ে প্রথমে বিরোধপূর্ণ বাড়ির সীমানা নির্ধারণ করেন। এরপর বুধবার সকালে হাসান কাজীর নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে ব্যাপক হামলা চালায়।

তারা আমার ৪টি বসতঘর ভেঙে ফেলে ও ঘরে থাকা পাট-পেঁয়াজ ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় হামলা ঠেকাতে আমাদের ওপরও হামলা চালায় হামলাকারীরা। এতে আমি ও আমার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৬০), ছোট ভাই শাহিদুর রহমান মুন্নু (৬০), ভাতিজা বদিউর রহমান (২৫) ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নিপা বেগম (৪৫) আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, হাসান কাজীর বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। তারা স্থানীয় প্রভাবশালী আউয়াল মুন্সীর সমর্থক। তাই ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলে না।

হামলার বিষয় জানতে হাসান কাজী ও আউয়াল মুন্সীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি তাদের বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানান হামলার পর পুলিশের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে হাসান কাজী ও আউয়াল মুন্সী এবং তাদের সমর্থকরা।  

সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, বাড়ির জমির সীমানা নিয়ে বিএনপি নেতা জাহিদুর রহমানের সাথে প্রতিবেশী কাউসার কাজীর বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।