
নীলফামারীর ডোমারে আওয়ামী লীগ নেতা সরল কর্মকারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী। বুধবার দুপুরে ডোমার পৌরসভার ৪ওয়ার্ডের ছোট রাউতা শাহীপাড়া গ্রামের মৃত এন্তাজ আলীর ছেলে ভুক্তভোগী রনজু হোসেন এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, ডোমার সদর ইউনিয়নের ছোট রাউতা মৌজার দাসপাড়া গ্রামে আমার ক্রয়কৃত ২৬ শতাংশ জমি রয়েছে। আমি জমিটুকুর সীমানা নির্ধারণের জন্য স্থানীয় সদর ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৭/০৭/২০২৫ ইং তারিখে ওই ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে জমির সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে ওই এলাকার ভূমি দস্যু সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সভাপতি সরল কর্মকার, তার ছেলে মদন কর্মকার, শ্যালক দিপেন কর্মকার, তার ভাই সনদ কর্মকার আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে আমাকে সীমানা নির্ধারণে বাধা প্রদান করেন। পরে ইউপি সদস্য মহেশ চন্দ্র কর্মকার এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সময়ের আবেদন জানালে পরবর্তী ০২/০৮/২০২৫ইং তারিখ জমিনের সীমানা নির্ধারণের জন্য দিন ধার্য্য করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, নির্ধারিত তারিখে জমিনের সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে তারা জমিনের সীমানা নির্ধারণে বাধা প্রদান করেন এবং প্রকাশ্যে জানান যে, জমিতে গেলে আমাকে মেরে পুতে রাখবে। আমার জমি জবর দখল করে নেবে। সরল কর্মকার নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি হওয়ার কারনে ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে একই এলাকার অনিল চন্দ্র কর্মকারের ২৪শতাংশ জমি জবর দখল করে সেখানে নতুন বাড়ি তৈরী করে বসবাস করে আসছে। তাদের বিভিন্ন অপকর্মে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না। সরল কর্মকার বিএনপি প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলার সাথে জড়িত। তার বড় ছেলে নিখিল কর্মকার একটি হত্যা মামলায় ফেরারি হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পারি জমিয়েছে।
তিনি বলেন, আমি একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ তাদের ভয়ে আমি আমার জমিতে যেতে পারছিনা। তাই নিরুপায় হয়ে ডোমার থানায় একটি অভিযোগ করি কিন্তু তারা এতটাই বেপরোয়া যে থানা থেকে বারবার তাগাদা দেয়া সত্বেও তারা থানার কোন কথা শুনছেন না। ওই জমিনের কোন কাগজপত্র তাদের নাই। শুধু মাত্র গায়ের জোরে এসব করছে। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। তাই নিরুপায় হয়ে আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলন।
Comments