Image description

পদ্মা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা তীরবর্তী লক্ষ্মীকুন্ডা, পাকশী ও সাঁড়া ইউনিয়নের শত শত হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এতে কলা, সবজি ও আখ চাষিরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।

ঈশ্বরদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৩.৮০ মিটার, যেখানে মঙ্গলবার সকালে পানি ছিল ১২.৫২ সেন্টিমিটার। পানির স্তর বৃদ্ধির কারণে লক্ষ্মীকুন্ডা, কামালপুর, চরকুড়ুলিয়া, বিলকেদার, চররূপপুর, সাঁড়া ঘাট এবং সাহেবনগর চরের বিস্তৃত ফসলি জমি ডুবে গেছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন কলা চাষিরা। চরাঞ্চলের প্রায় ১৪০০ হেক্টর কলার জমি পানির নিচে। যদি পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে পানি না নামে, তবে এসব গাছ রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে। এছাড়া চাল, ভুট্টা, আখ, কুমড়া, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজির শত শত বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।

লক্ষ্মীকুন্ডা গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, তার ১৯ বিঘা জমির ধনিয়া এবং ১৫ বিঘা কলার বাগান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে তার ২০-২৫ লাখ টাকার ধনিয়া এবং ৪-৫ লাখ টাকার কলা নষ্ট হবে। দাদাপুর গ্রামের কৃষক নয়ন আহমেদ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। আরেক কৃষক মুরাদ আলী বলেন, তার ৫ বিঘা কলা ও ১ বিঘা কাঁচামরিচ ডুবে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মমিন বলেন, দ্রুত পানি নেমে গেলে কৃষকদের ক্ষতি কম হবে। যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তাদের প্রণোদনা দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সুপারিশ করা হবে।