Image description

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের অংশ হিসাবে সীতাকুন্ড উপজেলায় বসানো ক্যামেরা গুলো দেড় বছরের মাথায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এতে করে সীতাকুন্ড অংশ মহাসড়কে চুরি, ডাকাতি, নাশকতা, চাঁদাবাজী, ইভটিজিং ও সকল প্রকার অপ্রীতিকর কর্মকান্ড ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) থেকে তথ্য নিতে পারবে না। 

সীতাকুন্ড উপজেলার মুল ফটকে যে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা(সিসিটিভি) বসানো হয়েছে এইটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙ্গে চুড়ে পড়ে আছেন। ফলে স্পর্শকাতর ও অপরাধ প্রবণ এই উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি হ্রাস পাবে বলে মনে করেন সীতাকুন্ডবাসী। ৩১ জুলাই থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশদিনে সীতাকুন্ড অংশে পাঁচটি দুর্ঘটনায় দশজন নিহত হয়েছে। এতে প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অনেকে পঙগুত্ববরণ করছেন। গত ৭ মাসে মহাসড়কের এই অংশে অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনায় ৪০জনের প্রাণহানি ও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। ক্যামেরা গুলো অকেজো হয়ে পড়ার কারনে এই দুর্ঘটনা গুলো ঘটিয়ে যেকোনো গাড়ি পালিয়ে গেলে সেটাও সনাক্ত করা সম্ভব হবে না।

হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সাত মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকু- অংশে ছোট-বড় অর্ধশতাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় পথচারী,যাত্রী, চালক ও চালকের সহকারীসহ ৩৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এসব ঘটনায় ৩৮টি মামলা করা হয়েছে।

জানা যায়, ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যায়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চুরি, ডাকাতি, নাশকতা, চাঁদাবাজী, ইভটিজিং ও সকল প্রকার অপ্রীতিকর কর্মকান্ড রোধ করতে ও বিভিন্ন অপরাধ দমনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) বসানো হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রাম নগরীর সিটি গেইট থেকে ঢাকা সিটি মহাসড়ক সাইনবোর্ড পর্যন্ত প্রায় ২৫০ কিলোমিটার সড়কে ৪৯০টি স্থানে উন্নত প্রযুুক্তির ১ হাজার ৪২৭টি এই সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এই ক্যামেরা গুলো বসানোর পর মহাসড়কের অধিকাংশ এলাকা নজরদারীর আওতায় এসেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। 

হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি বরকতউল্লাহ খাঁন তখন বলেছিলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা হাতে চট্টগ্রামের সিটি গেট পর্যন্ত সর্বমোট ২৫০ কিলোমিটার মহাসড়ক সম্পূর্ণ নজরদারিতে আসবে। এর ফলে সাধারণ মানুষ নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারবে। দুর্ঘটনা ঘটিয়ে যেকোনো গাড়ি পালিয়ে গেলে সেটাও সনাক্ত করা সম্ভব হবে। এর ফলে মহাসড়কে চালকরা গাড়ি চালানোর সময় অধিকতর সচেতন হবে এবং এতে করে দুর্ঘটনার হার কমে আসবে। এছাড়া মহাসড়কে বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহন থেকে মালামাল চুরি, ডাকাতি ও নাশকতাসহ সব ধরনের অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে।’