সাতক্ষীরায় বিদ্যালয় থেকে সহকারী শিক্ষককে টেনে-হিঁচড়ে বের করলেন ইউপি সদস্য

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে এক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য তাকে বিদ্যালয় থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে দেন।
শনিবার সকালে শিক্ষক শফিকুর রহমান ক্লাসের পর দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। পরদিন সকালে ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম ও এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম জানান, শিক্ষক শফিকুর রহমান এর আগেও একই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে একটি তদন্তও চলমান ছিল। প্রধান শিক্ষকের কাছে সঠিক প্রতিকার না পাওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন।
শিক্ষার্থীরা অবশ্য দাবি করেছেন, তাদের শিক্ষককে অন্যায়ভাবে বের করে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে তারা একত্রিত হয়ে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। এসময় কিছু বহিরাগত ও বিএনপি নেতাকর্মী তাদের হুমকি দেন বলে তারা অভিযোগ করেন।
শিক্ষক শফিকুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তার অভিযোগ, তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল বলেন, তিনি লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ পাননি। তিনি বলেন, “শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে একজন শিক্ষককে এভাবে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।” তিনি এই ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং বলেন, এর পেছনে ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়িত। তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
Comments