Image description

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) স্পট ফিক্সিংয়ের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। একটি বেটিং চক্র একটি নির্দিষ্ট ম্যাচ হারার জন্য এক ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ৪০০ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল। যদিও ফ্র্যাঞ্চাইজিটি প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছিল কিনা তা নিশ্চিত নয়, তবে তারা বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে এ বিষয়ে জানায়নি এবং শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হেরেও যায়।

একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি ৩০০ ঘণ্টার অডিও এবং তিন হাজার পৃষ্ঠার লিখিত নথি পর্যালোচনা করে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রায় তৈরি করে ফেলেছে। আগামী সপ্তাহে প্রতিবেদনটি বিসিবি সভাপতির কাছে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। কমিটির হাতে ৩৬টি সন্দেহজনক ঘটনা এসেছে, যেখানে ১০-১২ জন ক্রিকেটারের নাম উঠে এসেছে। এর মধ্যে ৩-৪ জনকে 'হাই ফ্ল্যাগড' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে জাতীয় দলের একজন পেসার ও একজন অফস্পিনার, সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে থাকা একজন খেলোয়াড় এবং একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচের নাম এসেছে।

তদন্তে তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়েছে: দুর্বার রাজশাহী, সিলেট স্ট্রাইকার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস।

তদন্তে আরও জানা গেছে, শুধু সর্বশেষ আসর নয়, গত পাঁচ বিপিএলে ১৪০টিরও বেশি সন্দেহজনক ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে ৬০ জনের বেশি দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড় জড়িত। স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানগুলোরও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কিছু প্রতিষ্ঠান অনলাইন বেটিংয়ের বিজ্ঞাপন চালিয়ে ১৭০-১৮০ কোটি টাকা আয় করেছে। সন্দেহভাজন এজেন্টরা করপোরেট বক্সে বসে খেলা দেখতো, যা অনেক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আশ্রয় দিয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে ঢেলে সাজানোর জোর সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে অনলাইন বেটিং বন্ধে বিদ্যমান আইন সংস্কার অথবা নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে বিসিবি নিজস্বভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে।