Image description

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতাদের মঞ্চে না বসিয়ে এনসিপি নেতাকে বসানোয় তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলার মুখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান এনসিপি নেতা মো. আশরাফ হোসেনকে বাঁচাতে গিয়ে বিএনপিকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন।

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পশ্চিম পাতরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় সৎসংঘ সামাজিক উন্নয়ন সোসাইটির একটি বৃক্ষ রোপণ অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এনসিপি নেতা আশরাফ হোসেনকে মঞ্চে বসানো হয়, কিন্তু বিএনপির উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতাদের মঞ্চের সামনে বসতে দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা মঞ্চের সামনে হট্টগোল শুরু করেন এবং একপর্যায়ে এনসিপি নেতা আশরাফের ওপর হামলা চালান। তাকে বাঁচাতে গেলে ইউএনও মিজানুর রহমানকেও তোপের মুখে পড়তে হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল খান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং এনসিপি নেতা আশরাফ হোসেনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে তিনি বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম বলেন, এই ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটেছে এবং পরে শহিদুল ইসলাম বাবুল খানের নেতৃত্বে তা মীমাংসা করা হয়েছে।

ভাঙ্গা উপজেলা এনসিপির আহ্বায়ক আশরাফ হোসেন বলেন, "আমাকে কেন মঞ্চে বসানো হলো—এ নিয়ে বিএনপি নেতারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে লাঞ্ছিত করে। ইউএনও মহোদয়ের কারণে আমি বেঁচে গেছি।"

ইউএনও মিজানুর রহমানও জানান, এনসিপি নেতাকে মঞ্চে বসানোয় বিএনপি কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটায়। পরে বিএনপির নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।