
রাজধানী ঢাকার মৌচাকে সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলজে হাসপাতালের পার্কিংএ থাকা একটি প্রাইভেটকারের মধ্যে থেকে দুই জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নোয়াখালীর চাটখিলে নিহত দুই জনের গ্রামের বাড়ীতে চলছে শোকের মাতম।
নিহত প্রাইভেট কারের চালক জাকিরের স্বজনের দাবি আমেরিকাতে যাওয়ার জন্য এক আদম ব্যাপারীকে ১৯ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। কিন্তুু দীর্ঘ সময়েও তাদের আমেরিকাতে নেয়া হয়নি। উল্টো টাকা চাইলে জাকিরকে নানা ধরনের হুমকি দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন এ হত্যার পিছনে এ টাকা চাওয়ার ঘটনা ছাড়াও অন্য কিছু থাকতে পারে। নিহত দুই জনের স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত এ চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের দৃষ্টান্ত শাস্তি দেয়া হোক।
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা খিলপাড়া ইউনিয়নের আট নং ওয়ার্ডের লটপটিয়া গ্রামের খামার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। দীর্ঘদিন সৌদি আরব থেকে ফেরত আবু তাহেরের মেজো ছেলে ছেলে জাকির হোসেন। এইচএসসি পাশ করার পর তাকে বিদেশে যাওয়ার জন্য ড্রাইভিং শিখানো হয়। এরর মধ্যে আমেরিকা যাওয়ার জন্য লক্ষীপুরের দত্তপাড়ার ফজলুল হকের কাছে ১৯ লাখ টাকা দেয়া হয়। গত শনিবার প্রাইভেটকার চালক নোয়াখালী থেকে ঢাকায় যায় মৌচাকে সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রোগী আনার জন্য। কিন্তু রোগীর অপারেশন শেষে আরও দুই দিন থাকতে হবে তার কারণে গাড়ীটি হাসপাতালের বেজমেন্টের পার্কিং করা ছিল । পরে কার থেকে চালক জাকির হোসেন তার সাথে যাওয়া পার্শ্ববর্তী রামনারায়নপুর গ্রামের মিজানের পচন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ খবরে জাকির হোসেনের পরিবারের চলছে আহাজারি।
জাকিরের মা কসুম বেগম কান্নাজড়িত জানান, তার ছেলেকে আমেরিকা নেয়ার জন্য ১৯ লাখ টাকা দেয়া হয়েছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে বিদেশে না নেয়াতে টাকা চাইলে হুমকি দিয়েছিল। তারাই তার ছেলেকে হত্যা করেছে। তিনি সন্তানের হত্যাকারীদেও বিচার চান। জাকিরেরর স্বজন ও এলাকাবাসীও এ নৃশংষ হত্যার বিচার দাবি করেন।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত আরও একজন মিজানের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একই উপজেলা চাটখিলের রামনরায়নপুর ইউনয়নের দক্ষিম গোমাতলি গ্রামের দৌলতিয়া গ্রামের বাড়িতে চলছে আহাাজির। মিজানের বৃদ্ধা মা বার বার মুর্চা যাচ্ছেন সন্তান হারিয়ে। বড় বোন রোজী বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান তার ভাই জাকিরওে মাধ্যমে ড্রাইভিং শিখেছিল। শনিবার সে জাকির হোসেনের সাথে ঢাকা যায় তার বোনের বাসার উদ্দেশ্যে। কথা ছিল বোনের বাসায় যাবে কিন্তু তার মরদেহ জাকির হোসেনর সাথে একই কারের মধ্যে পাওয়া যায়। তারা এ হত্যার প্রকৃত বিচার দাবি করেন। একই বাড়ীর প্রতিবেশীরা ও এ হত্যার বিচার দাবি করেন।
স্থানীয় খিলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, এ ধরনের জঘন্য হত্যাকান্ডের সাথে যারাই জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি এলাকাবাসীর।
Comments