
শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার এক পুলিশ কনস্টেবলের ইয়াবা কেলেঙ্কারিতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নড়িয়া পৌরসভার ঢালীপাড়া মাঝিরবাজার এলাকায় দুই পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক হন কনস্টেবল আল আমিন দিপু। তার সঙ্গে আটক হন স্থানীয় যুবক আসাদ হোসেন (১৮)।
ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন সদস্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়দের দাবি, ওই রাতে আল আমিন দিপু ও আসাদ হোসেনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে এলাকাবাসী তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তল্লাশির সময় তাদের কাছ থেকে দুই পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়। পরে খবর পেয়ে নড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজনকে থানায় নিয়ে যায়।
নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্যা জানান, ঘটনার পরপরই কনস্টেবল আল আমিন দিপুকে প্রত্যাহার করে শরীয়তপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। অপরদিকে, আসাদ হোসেনকে রোববার (১০ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, “কনস্টেবল আল আমিন দিপু ইয়াবা কারবারে জড়িত কিনা, তা আইনগত প্রক্রিয়ায় তদন্ত করা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলে বলেন, “যারা আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে, তারাই যদি মাদকের সঙ্গে জড়িত হয়, তাহলে আমরা কোথায় নিরাপত্তা পাব?” এ ঘটনায় জনমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
Comments