Image description

চাকুরী করে বেতন নেই তারপরও কোটিপতি, চলেন দামি গাড়িতে থাকেন আলিশান বাড়িতে। কাস্টমস হাউসে চাকুরি করি বলে দাপিয়ে বেড়ায় গোটা বন্দর এলাকা। এদের কাছে অনেকটাই অসহায় সিএন্ডএফ এজেন্টরা। সিএন্ডএফ এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আদায় করতেন লক্ষ লক্ষ টাকা। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কর্মরত ১৪০ জন নন গর্ভানমেন্টাল অর্গানাইজেশন (এনজিও)দের কথা লোক মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের নবাগত কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন যোগদান করার পর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। যোগদান করার পর গত সপ্তাহে ১৪০ জন এনজিও কে বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীদেও অভিযোগ ছিল কমিশনার দপ্তর থেকে শুরু করে শুল্কায়ন ও পরীক্ষন গ্রুপ পর্যন্ত প্রতিটি শাখায় দুই বা ততোধিক এনজিও অবস্থান করতো। আমদানি রফতানি বাণিজ্যে তাদের দ্বারা মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হতো। তাদের দ্বারা মুলত কাস্টমস কর্মকর্তারা অনৈতিক কর্মকান্ডে বেশি জড়িত হতো। ফলে এসব এনজিওরা অল্পদিনে কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। শুণ্য থেকে কোটিপতি হতে বেশি সময় লাগেনি তাদের। অবৈধ টাকার গরমে সমাজ ও পারিবারিক জীবনে নানা অশান্তির সৃষ্টি করছে তারা।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস হাউসের জনবল সংকট ছিল। এর আগে খুলনা ও যশোর কাস্টমস হাউস থেকে জনবল ধার করে কাস্টমস হাউসের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। সে সময় বিভিন্ন কর্মকর্তারা অফিসের কার্যক্রমের সুবিধার্থে কিছু নিকট আত্মীয় কিংবা পরিচিত লোকজন এনজিও হিসাবে নিয়োগ দেন। তিনি বর্তমান কমিশনারের এনজিও অপসারন কার্যক্রমকে স্বাগত জানান।

বেনাপোল কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এনজিও অপসারনের দাবি জানিয়ে আসলেই তৎকালীন সমায়ের কর্মকর্তারা আমাদের দাবির বিষয়ে কোন কর্ণপাত করেনি। সিএন্ডএফ এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় সহ নানা অপকর্মে সাথে এরা জড়িত। মুলত এদের কারনে আমদানি রফতানি বাণিজ্য মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হতো। আশাকরি কমিশনার তার দৃঢ়চেতা সিন্ধান্তের কারনে আমদানি রফতানি বাণিজ্য সহজীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।