উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কুড়িগ্রামের প্রধান নদ-নদী ধরলা, দুধকুমার, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এর ফলে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলগুলোতে স্বল্পমেয়াদী বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সোমবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কুড়িগ্রাম পাউবো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি ৫৬ সেন্টিমিটার, দুধকুমার নদের পানি ১২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা নদীর পানি ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সব কটি নদীর পানিই বর্তমানে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রাজারহাট উপজেলার তিস্তা চরের সরিষাবাড়ি গ্রামের কৃষক কাইয়ুম বলেন, "রোববার থাকি তিস্তার পানি বাড়বেইছে। তবে বন্যা হবার মতো পানি বাড়ে নাই। পানি যদি আরও জোরে বাড়ে তাহলে সবজি খেতগুলো নষ্ট হবে।"

পাশের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বাসিন্দা রহিম মিয়াও একই কথা বলেছেন, "তিস্তায় পানি বাড়লেও বন্যার হবার মতো পানি বাড়েনি। কারণ চরগুলো এখনও ডুবেনি।"

কুড়িগ্রাম পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে তিস্তা নদীসংলগ্ন কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।