সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কমিটি ঘোষণার পরদিন থেকে শুরু করে সাত দিনের মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন ৬ জন নেতা। কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জাতীয়  নাগরিক পার্টি এনসিপি গোয়াইনঘাট উপজেলা শাখায় অসন্তোষ বেড়েই চলছে। এতে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠনের এক সাপ্তাহের মধ্যে ৬ জন নেতা  ব্যক্তিগত কারন পদত্যাগ করেছেন। 

গতকাল রোববার (২০ জুলাই) ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান সমন্বয়কারী হাফিজ মো. আব্দুল  হাফিজের কাছে এ পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন যুগ্ন সমন্বয়কারী এনামুল হক মারুফ, সদস্য তরিকুল ইসলাম, কিবরিয়া আহমদ ও কামরুল হাসান।

এ নিয়ে মোট ৬ জন নেতা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। এর আগে,গত ১২ জুলাই এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলমের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গোয়াইনঘাট উপজেলায় ২১ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।কমিটি ঘোষণার একদিন পরই ১৩ জুলাই সদস্য ফাহিম আহমদ এবং পরদিন ১৪ জুলাই যুগ্ম সমন্বয়কারী নাদিম মাহমুদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে  ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা জানান,যুগ্ম সমন্বয়কারী এনামুল হক মারুফ গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া হেলাল চেয়ারম্যান এর চাচাত ভাই। মূলত  আওয়ামী লীগের ওই প্রভাবশালী নেতার ধমকেই এনামুল হক মারুফ পদত্যাগ করেছেন। সদস্য কামরুল, তরিকুল ও কিবরিয়া তারা একসাথে বিকাশ এর এজেন্ট কোম্পানিতে চাকুরী করেন। তাদেরকে মারুফই এনসিপির কমিটিতে এনেছিলেন এবং একসাথে চারজনই পদত্যাগ করেছেন। 

তিনি আরও জানান, নাদিম ও ফাহিম ব্যক্তিগত কারণ দেখালেও মূলত কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় তারা পদত্যাগ করেছেন। 

গোয়াইনঘাট উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী হাফিজ মোঃ আব্দুল হাফিজ একাধিক নেতার পদত্যাগের বিষয়টি মানবকন্ঠকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কমিটিতে কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় প্রথমে ফাহিম আহমদ ও নাদিম মাহমুদ পদত্যাগ করেন।

গতকাল রোববার আরও চারজন নেতা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এনামুল হক মারুফ, কামরুল, তরিকুল, কিবরিয়া বিকাশ এজেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করেন। তাদের একজন সরাসরি চাকুরির অসুবিধার কথা বলেছেন।