
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা লটকনের জন্য বিখ্যাত হলেও এ বছর ফলন কম হওয়ায় হতাশ স্থানীয় চাষিরা। উপজেলার জয়নগর, যোশর ও বাঘাব ইউনিয়নের কিছু অংশে মূলত লটকনের আবাদ হয়। দেশবিদেশে এই ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
জানা যায়, প্রায় একশ বছর আগে লটকনকে "পাহাড়ি ডোমর" নামে ডাকা হতো। কালের আবর্তনে লটকন নিয়ে গবেষণা হয়েছে এবং চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা মানবদেহের জন্য উপকারী। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে লটকনের মুকুল আসে এবং জুলাই মাস থেকে ফল পাকা শুরু হয়। এরপর লটকন বাজারে বিক্রি ও দেশের বাইরে রপ্তানি করা হয়। এই ফল চাষ করে উল্লিখিত তিন ইউনিয়নের মানুষ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হন। তবে এ বছর লটকনের ফলন কম হওয়ায় লাল মাটির অঞ্চলের মানুষ মুখে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।
বিরাজ নগর গ্রামের লটকন চাষি কামাল হোসেন বলেন, "খরা মৌসুম থাকায় লটকন কম হয়েছে।" অন্যদিকে নৌকাঘাটার রশিদ জানান, সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় লটকনের ফলন কমে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিন সাদেক বলেন, "১৪৬০ একর জমিতে সময়মতো বৃষ্টি না হওয়া এবং মুকুল থেকে ফল হওয়ার সময় গরম থাকায় এ বছর লটকন কম হয়েছে।"
তিনি আরও জানান, "পর্যায়ক্রমে এক বছর ফলন বেশি হলে পরের বছর একটু কম হয়ে থাকে, তবে এ বছর বেশি কম হওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং তা নিয়ে গবেষণা চলছে।"
Comments