
গাজীপুরে কালিয়াকৈরের পল্লি বিদ্যুৎ মেইন রোড থেকে রহমান মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ কাজ মাঝপথে বন্ধ করে পালিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে দীর্ঘদিন ধরে সড়কে কাদাপানি জমে থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। প্রতিদিন গার্মেন্ট শ্রমিক, স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন। সড়কের পাশেই পৌরসভা সার্কেল-২ এর অফিস অবস্থিত হওয়ায় সেখানে যেতেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈর পৌর এলাকার পল্লীবিদ্যুৎ বাসস্ট্যান্ড থেকে রহমান মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার সড়ক ও ৪৫০ মিটার ড্রেন নির্মাণে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় পৌরসভা। কাজটি পায় মোনালিসা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণ কাজ ফেলে লাপাত্তা হয়ে যায় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ কাজ আর শুরু হয়নি।
বর্তমানে সড়কের বিভিন্ন স্থানে কাদাপানি জমে থাকায় বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে যাওয়া ই দায়। বিকল্প রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়েই স্থানীয়দের পচা পানি, আবর্জনা ও কাঁদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ময়লাযুক্ত পিচ্ছিল রাস্তায় পড়ে গিয়ে আহতও হচ্ছেন অনেকে। ড্রেন ও সড়কের এমন করুণ দশা দেখেও যেন কোনো হেলদোল নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। অথচ এই রাস্তার পাশেই অবস্থিত পৌরসভা সার্কেল-২ এর অফিস। সেবা নিতে আসা পৌর নাগরিকদের কাদামাখা পথ পেরিয়েই অফিসে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী ও পথচারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। চলাচল করতে চরম কষ্ট হয়। ড্রেন ও সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় রাস্তায় আবর্জনা, পানি ও কাঁদার স্তূপ জমে আছে। অফিসে যাওয়ার সময় অনেকেই কাদায় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। পৌরসভা কার্যালয় কাছে থাকলেও তাদের কোনো নজরদারি নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
কালিয়াকৈর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রশাসকের কর্মসম্পাদন সহায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, ঠিকাদার চলে যাওয়ায় ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণে কিছুটা বিলম্ব ঘটেছে। দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ডাকা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কালিয়াকৈর পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে ওই কাজের ঠিকাদার পলাতক থাকায় কাজে বিলম্ব হয়েছে। তিনি বলেন, ড্রেনের ঢাকনার কাজ শেষ না হওয়াটা খুবই বিপজ্জনক, কারণ ড্রেনের পানিতে শিশুরা পড়ে যেতে পারে। কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
Comments