Image description

শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নে ভাতের সঙ্গে ১৫টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্বামীকে অচেতন করে প্রেমিকের হাতে তুলে দেয় স্ত্রী। পরের দিন পুকুর থেকে স্বামীর লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম এসব তথ্য তুলে ধরেন। 

পুলিশের তথ্যমতে জানা যায়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে ভাতের সঙ্গে ১৫টি ঘুমের ওষুধ মেশানো মেশানো ভাত স্বামী মোহাম্মদ আলীকে (৪০) নিজ হাতে খাওয়ানো শেষে অচেতন অবস্থায় প্রেমিক মামুন চৌকিদার ও তার সহকারী বাবু ফকিরের (২৫) কাছে তুলে দেন স্ত্রী মুন্নি বেগম। পরের দিন পুকুর থেকে মোহাম্মদ আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শুক্রবার নিহতের স্ত্রী মুন্নি ও বাবু ফকিরকে আটক করে পুলিশ। 

পুলিশ সুপার বলেন, ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের একটি পুকুর থেকে মোহাম্মদ আলী মাদবর নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তে কোনো আঘাতের চিহ্ন না পেলেও পুলিশের মনে হয়, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। পরে নিহতের স্ত্রী মুন্নি বেগমকে পুলিশের সন্দেহ হয়। তাই শুক্রবার মুন্নিসহ বাবু ফকিরকে আটক করে পুলিশ।

এর আগে, নিহতের বড়ভাই কারামত আলী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অজ্ঞাতপরিচয়ে কয়েকজনকে আসামি করে শরীয়তপুর সদর থানায় হত্যা মামলা করেন বলে জানান পুলিশ সুপার। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) মুন্নি ও বাবুকে শরীয়তপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালতে স্বামী হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন মুন্নি। তিনি জবানবন্দিতে বলেন, ঘুমের ওষুধ মেশানো ভাত খাওয়ার পর স্বামী অচেতন হয়ে পড়েন। তখন তিনি স্বামীকে প্রেমিক মামুন ও বাবু ফকিরসহ কয়েকজনের হাতে তুলে দেন। 

এদিকে বাবু ফকির পেশায় অটোরিকশাচালক। তার অটোতে মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের একটি পুকুর ফেলে দেওয়া হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানায় পুলিশ।


মানবকণ্ঠ/এফআই