
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ঘটনাস্থলে হাজার হাজার উৎসুক জনতার ভিড় জমেছে। সোমবার (২১ জুলাই ২০২৫) বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এই জনতার কারণে উদ্ধারকর্মীদের উদ্ধারকাজে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও জনতা সরে না যাওয়ায় উদ্ধার প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।
মাইলস্টোন কলেজের একজন শিক্ষার্থী জানান, তারা কলেজটিতে ক্লাস করছিলেন, এ সময় শব্দ শুনতে পান। বেরিয়ে এসে দেখেন মাঠে আগুন জ্বলছে। এরপর তারা ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে আসেন।
ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করার সময় তারা জানান, লোকজনের ভিড়ের কারণে ক্যাম্পাসটি থেকে ৫০০ গজ দূরে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। কোনো লোকজনকে তারা ঢুকতে দিচ্ছেন না। অনেক অভিভাবক এসে তাদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছেন ক্যাম্পাসে যেতে এবং সন্তাদের খোঁজখবর নিতে। কিন্তু তাদেরও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
পুরো এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা উৎসুক জনতাকে সামাল দিচ্ছেন। এর মাঝে কলেজটির বাস ও অ্যাম্বুলেন্স আসছে। কলেজটির ভেতরে আটকা পড়া অসুস্থ লোকজনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
মাইলস্টোন কলেজের ৫১ গজ দূরে পূর্বদিকে লোকজনের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। লোকজনের ভিড় এতটাই বেশি যে, দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল স্টেশন থেকে শুরু করে কলেজটি গেট পর্যন্ত শত শত শিক্ষার্থী স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছে। তাদের এসব উৎসুক জনতাকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উত্তরার একটি কলেজের শিক্ষার্থী রুবেল বলেন, আমরা এত লোককে সামাল দিতে পারছি না। রাস্তায় এত লোকজন যে, অ্যাম্বলেন্সও ঠিকমতো যেতে পারছে না। দলে দলে লোকজন আসছে।
এ দুর্ঘটনার পর উত্তরার বিভিন্ন সড়ক হয়ে লোকজন ঘটনাস্থলে আসতে থাকে। ফলে উত্তরা এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এক আনসার সদস্য বলেন, দুর্ঘটনার পর এত লোক কোথা থেকে এলো আমরা বুঝতেছি না। আমরা তাদের বারবার সরিয়ে দিচ্ছি, কিন্তু তারা শুনছে না।
Comments