Image description

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হাবিবুর রহমান হল সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের মতামত ও প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দিতে গণ ইশতেহার সংগ্রহ শুরু করেছে ছাত্রদল মনোনীত প্রিন্স-জাহাঙ্গীর-ইমরান পরিষদ।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে হলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরাসরি মতামত সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করে তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যা, দাবি ও প্রত্যাশা তুলে ধরেন, যা আগামীতে প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন নেতারা।

প্যানেলের ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হাবিবুল বাশার প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জাহাঙ্গীর আলম এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইমরান হোসেন।

ভিপি প্রার্থী হাবিবুল বাশার প্রিন্স বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তাদের প্রত্যাশা ও কাঙ্ক্ষিত চাহিদা অনুযায়ী ইশতেহার সংগ্রহ করছি। কারণ, শিক্ষার্থীদের মতামতই আমাদের কর্মপরিকল্পনার মূল ভিত্তি। আমাদের এই প্যানেলের মূল লক্ষ্য হলো শহীদ হাবিবুর রহমান হলে একটি সত্যিকারের শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা।

তিনি আরও বলেন, যদি শিক্ষার্থীরা আমাদের উপর আস্থা রাখে এবং তাদের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করে, তাহলে আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা দিয়ে তাদের স্বপ্ন ও সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করবো। আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন হলে সমান সুযোগ-সুবিধা পায় এবং তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত হয়। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশাকে বাস্তবে রূপ দিতে আমরা সবসময় পাশে থাকবো। 

জিএস পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষার্থীরাই হল সংসদের প্রাণ। তাই তাদের প্রত্যাশা ও মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইশতেহার প্রণয়ন করছি। আমাদের লক্ষ্য হলো শহীদ হাবিবুর রহমান হলে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী নিরাপদ, স্বচ্ছন্দ ও সমানভাবে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, যদি শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করে, তাহলে আমি সবসময় শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার থাকবো। পাশাপাশি হলে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা, বিশেষ করে জিমনেসিয়ামের আধুনিক সরঞ্জাম বৃদ্ধি ও ক্রীড়া-সংস্কৃতির সুযোগ সম্প্রসারণে অগ্রাধিকার দেবো। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং একটি শিক্ষার্থী-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলাই হবে আমার প্রধান অঙ্গীকার।

উল্লেখ্য, হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা প্যানেলটির প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন। তারা হলে সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা ও মতামত স্বতঃস্ফূর্তভাবে লিখে গণ ইশতেহারে জমা দিচ্ছেন।