গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের অভিযোগ, জাতিসংঘের তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন

জাতিসংঘের একটি তদন্ত কমিশন জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের গাজায় ইসরায়েল জাতিগত নিধন চালিয়েছে। ২০২৩ সালে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর আন্তর্জাতিক আইনে সংজ্ঞায়িত পাঁচটি জাতিগত নিধনের মধ্যে চারটি সংঘটিত হয়েছে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। এগুলো হলো: একটি গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা, তাদের গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি, গোষ্ঠীটিকে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি তৈরি এবং শিশু জন্মরোধ করা।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশনের চেয়ারপারসন নাভি পিল্লাই এই ঘোষণা দেন। আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিল্লাই বলেন, "আমরা প্রেসিডেন্ট ইজহাক হারজোগ, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টকে তাদের বিবৃতি ও আদেশের ভিত্তিতে শনাক্ত করেছি। কারণ এই তিন ব্যক্তি রাষ্ট্রটির প্রতিনিধি। আর আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রকেই দায়ী বলে ধরা হয়। তাই আমরা বলছি, ইসরায়েল রাষ্ট্র এই জাতিগত নিধন সংঘটিত করেছে।"
তদন্ত প্রতিবেদনে ইসরায়েলি নেতাদের বক্তব্য এবং ইসরায়েলি বাহিনীর আচরণের ধরণকে জাতিগত নিধনের অভিপ্রায়ের প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিশন দেখেছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিবৃতির পাশাপাশি 'পরিস্থিতিগত প্রমাণ' আছে; যেগুলো জাতিগত নিধনের অভিপ্রায় খুঁজে পাওয়ার দিকে নিয়ে গেছে।
এদিকে, ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবেদনটিকে 'বিকৃত ও মিথ্যা' আখ্যা দিয়েছে। জাতিসংঘের জেনিভা দপ্তরে নিযুক্ত ইসরায়েলি স্থায়ী প্রতিনিধি ড্যানিয়েল মেরন এই প্রতিবেদনের তথ্য প্রত্যাখ্যান করে নিন্দা জানিয়েছেন।
Comments