
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২১ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পর রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন জানান, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার কারণে অনেকে আহত হয়েছেন, যাদের অনেকেরই পরীক্ষা ছিল। তাই শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আজকের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষার্থী তার ফ্ল্যাট বাসায় ঢুকতে গেলে বাসার দারোয়ান তাকে মারধর করে। আশপাশের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে দারোয়ান পালিয়ে যান। এরপর স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের ওপর ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। রাত ১২টা থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর জখম হন। চবি মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ টিপু সুলতান জানান, গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
Comments