
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়নি, শুধু এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে। তাই দলটি দেশে তার কার্যালয় খুলতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ। তিনি বলেন, কলকাতায় 'পার্টি অফিস' খুলে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চালানো নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো উচিত। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিক এম এ আজিজ বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম এক্সিকিউটিভ অর্ডারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর মানে হলো, দলটি মিটিং-মিছিল করতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি তাই হয়, তাহলে কলকাতায় অফিস করল কেন? বাংলাদেশে অফিস করতে পারত। কত জুলুম-অত্যাচারের পরও বিএনপি ১৭ বছর থাকল কী করে। আওয়ামী লীগের তো কার্যক্রম নিষিদ্ধ, দল কিন্তু নিষিদ্ধ নয়।”
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বক্তব্য কেউ প্রচার করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমন কথা বলা হলেও আগে তো আইনটা হতে হবে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একসময় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাও তারেক রহমানের বক্তৃতা নিষিদ্ধ করেছিলেন। আজিজ বলেন, “আমার কথা হচ্ছে, আইন করেন, নিষিদ্ধ করেন। না হলে এটাও কিন্তু এক ধরনের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করা।”
কলকাতায় আওয়ামী লীগের 'পার্টি অফিস' বন্ধ করার জন্য ভারত সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর আহ্বান জানান তিনি। আজিজ বলেন, “ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দরকার আছে। কিন্তু স্বাধীন দেশ হিসেবে আমার ন্যায্য দাবি, অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে। কিন্তু ভারত পতিত সরকারের এমপি, মন্ত্রীকে আশ্রয় দিচ্ছে, অফিস খুলতে দিচ্ছে। তাহলে তো তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাবে না।”
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রায় ৩০টার মতো চুক্তি হয়েছিল। সবগুলোই কিন্তু ভারতের অনুকূলে। এই চুক্তিগুলো বর্তমান সরকার রিভিউ করতে পারত। সেগুলো সরকার করছে না।”
১৭ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীরা গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হলেও পালিয়ে যাননি উল্লেখ করে এই সাংবাদিক বলেন, “আওয়ামী লীগ অন্যায় করলে তো বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। তারা পালালো কেন।”
Comments