
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর অধিকাংশই হাসপাতাল ছেড়েছেন এবং সবাই শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চবির সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়ে তিনি এক ফেসবুক পোস্টে নিজের হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, “আমি চাই, এমন দিন আমার শিক্ষকতা জীবনে আর ফিরে না আসুক।”
শনিবার দিবাগত রাতে এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্থা করার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন জোবরা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৬০ জন শিক্ষার্থী আহত হন, যাদের মধ্যে ২১ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন তার পোস্টে লেখেন, রাত ২টা ৫৫ মিনিট থেকে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে আহত শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন। তিনি সকলের সুস্থতা কামনা করেন এবং জানান যে, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অনেকেই বাসায় ফিরে গেছেন এবং বর্তমানে ৫ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও তারা শঙ্কামুক্ত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, এক নারী শিক্ষার্থী তার বাসায় ফিরতে গেলে দারোয়ানের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দারোয়ান কয়েকজনকে ডেকে এনে ওই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হলে স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, তিনি প্রতিদিনের মতো সেদিনও সময়মতো বাসায় ফিরেছিলেন। কিন্তু দারোয়ান দরজা খুলতে রাজি না হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং একপর্যায়ে তাকে চড় মারেন। ছাত্রীটি নিজেকে রক্ষা করতে গেলে দারোয়ান তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং লাথি মারতে থাকেন। পরে তার রুমমেট ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তিনি রক্ষা পান।
Comments